October 26, 2024, 8:30 pm

সংবাদ শিরোনাম :
শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা সন্তুষ্ট নয়;সকল অঙ্গ-সঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ খান বিএনপি’র ভিন্ন রকম ক্যাম্পেন  শেখ হাসিনাকে ৫৭ বার ফাঁসি দিলেও ক্ষতি পূরণ হবে না: সেলিম উদ্দিন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় আ’লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে অসহায় দিনমজুর সহিলের মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়ে ফেলেছে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি  

মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর এলাকা হতে দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবত পলাতক ধামরাইয়ের আমজাদ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজা আসামী আতাল হক’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

নিজস্ব প্রতিনিধঃ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিগত দিনগুলোতে র‌্যাব-৪ চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দীর্ঘ সময় যাবত পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ছদ্মবেশী বেশ কয়েকজন দুর্ধর্ষ খুনী, ডাকাত এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-৪ ।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ০৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখ রাত অনুমান ২০.০০ ঘটিকায় মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধামরাই থানার চাঞ্চল্যকর আমজাদ হোসেন ’কে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী এবং দীর্ঘ ৩৮ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আতাল হক (৫৬), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনা প্রতিবেদন জানা যায়, ১৯৮৩ সালে গ্রেফতারকৃত আসামী আতাল হক এবং ভিকটিম মোঃ আমজাদ হোসেন উভয়ই ধামরাই থানাধীন বানেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ভিকটিম পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন এবং গ্রামের একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। ভিকটিম ও আসামীর মধ্যকার জমি জমার সূত্র ধরে ধৃত আসামীসহ আরো ৮-১০ জন মিলে ধামরাই থানাধীন এলাকায় ভিকটিম মোঃ আমজাদ হোসেন @ পন্ডিত মশাই’কে গুরুতরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ভিকটিমের দেহ নিথর হয়ে গেলে আসামিরা ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়।

ভিকটিমের মরদেহের সন্ধান পরবর্তী কার্যক্রমঃ ঘটনার দিন সকালবেলা স্থানীয় জনগণ গ্রামের রাস্তা ধরে চলাচলের সময় ভিকটিম মৃত আমজাদ হোসেনের নিথর দেহ আসামির বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভিকটিমের পরিবারকে খবর দেয় এবং ভিকটিমকে আশুলিয়ার নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল ও লাশ পরিদর্শনপূর্বক লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরন করে। ভিকটিমের বড় ছেলে আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

উক্ত মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ০২ এপ্রিল ১৯৮৭ ইং তারিখ আসামিদের সাজা ঘোষনাপূর্বক ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আসামী আতাল আত্নগোপনে চলে যায়।

আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় আসামী আতালের জীবনযাপনঃ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু এবং একই মামলায় সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোক চক্ষুর আড়ালে আত্মগোপনে চলে যায়। পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য সে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে রংপুর, আশুলিয়া, পল্লবী, উত্তরা, টঙ্গীসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামী দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিকবার চুরি,ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লেও ধূর্ত আতাল নিজের ও বাবার ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে।

আসামীর জীবন বৃত্তান্তঃ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামি ১৯৬৬ সালে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন বানেশ্বর জন্মগ্রহণ করে। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে তার বাবার চতুর্থ সন্তান। আসামি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী হলেও চুরি, ডাকাতি করাই তার মূল কাজ ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন